বাকৃবি প্রতিনিধি
সাংবাদিকতায় কাজের পাশাপাশি বিশ্রাম ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ তৈরি করতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সাংবাদিক সমিতি প্রতিবছর বার্ষিক ভ্রমণের আয়োজন করে থাকে। এবারের গন্তব্য সিলেটের অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর।
শনিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ১২ সদস্যের একটি দল ময়মনসিংহ ক্যাম্পাস থেকে রওনা হয়েছেন হাওরের পথে। তিন দিনের এই ভ্রমণে তারা টাঙ্গুয়ার হাওরের বিস্তৃত জলাভূমি, নৌকাবিহার, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মোহনীয় দৃশ্য এবং স্থানীয় সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হবেন। আগামী ৭ জুলাই সন্ধ্যায় তারা আবার ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
সাংবাদিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ লিখন ইসলাম জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা একসাথে কিছু সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে চাই। সাংবাদিকতার ব্যস্ততা থেকে একটু ছুটি নিয়ে প্রকৃতির কাছে যাওয়া আমাদের জন্য মানসিক পুনর্গঠনের সুযোগ তৈরি করবে।
ট্যুরের আয়োজক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তানিউল করিম জীম বলেন, সাংবাদিকতা মানেই শুধু খবরের পেছনে ছোটা নয়, মাঝে মাঝে নিজেকেও নতুনভাবে খুঁজে নেওয়ার প্রয়োজন হয়। তাই এই ট্যুর শুধু ভ্রমণ নয়, এটা আমাদের জন্য আত্মিক প্রশান্তি ও পারস্পরিক বন্ধন আরও দৃঢ় করার একটি সুযোগ। আমরা চেষ্টা করেছি যেন সবার জন্য সুন্দর, নিরাপদ ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়। আশা করি, এই তিন দিনের যাত্রা আমাদের সবার জীবনে ছোটখাটো কিছু বড় স্মৃতি তৈরি করবে।
ট্যুর আয়োজক ও বাকৃবিসাসের ২০২৫ কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আমান উল্লাহ বলেন, প্রতিটি যাত্রার পেছনে থাকে একেকটি গল্প, যা আমাদের মানুষ হিসেবে পরিপূর্ণ করে। এই ট্যুর শুধু আনন্দ কিংবা অবসর নয়, বরং আমাদের মাঝে যে বন্ধন, সহযোগিতা আর সম্মিলনের চেতনা আছে তা আরও দৃঢ় করার একটি প্রয়াস। আমি বিশ্বাস করি, টাঙ্গুয়ার হাওরের এই অভিজ্ঞতা আমাদের সবাইকে আরও প্রাণবন্ত, উৎসাহী ও কর্মদক্ষ করে তুলবে। যা আমরা আমাদের সাংবাদিকতা ও ব্যক্তিজীবনে কাজে লাগাতে পারব।
উল্লেখ্য, গত বছর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি তাদের বার্ষিক ভ্রমণে ভারতের রাজধানী দিল্লি, আগ্রার তাজমহল ঘুরে এসেছিল। এবারের গন্তব্য দেশেই হলেও, টাঙ্গুয়ার হাওরের নৈসর্গিক রূপ সবার মধ্যেই ভ্রমণ উচ্ছ্বাস তৈরি করেছে।